অশ্লীলতা কি নারির অধিকার?

  অশ্লীলতা কখনো অধিকার হতে পারে না!

আমরা কি এমন একটা সমাজ চাই, যেখানে সত্য বলা অপরাধ? যেখানে অন্যায় দেখলে চোখ বন্ধ রাখতে হয়? যেখানে অশ্লীলতা প্রশ্নবিদ্ধ করলেই তুমি শত্রু হয়ে যাও

 কিছু গোষ্ঠী "অধিকার" নামের মুখোশ পরে অশ্লীলতাকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে। কিন্তু সত্য কখনো চাপা থাকে না!

আমরা কি দেখছি আজকাল?

প্রকাশ্যে ছেলেমেয়ে একসাথে ধূম পান করছে, কিন্তু কেউ কিছু বললেই তাকে আ ক্র মণ করা হচ্ছে!

 একজন যুবক নামাজ পড়ে বের হওয়ার সময় মেয়েদের অশ্লীল আচরণে আপত্তি করেছিল, কিন্তু শাস্তি পেল সেই ছেলেটাই!

আল্লাহ ও রাসুল (সা.)-কে অপমান করলে তাদের জন্য কোনো বিচার হয় না, কিন্তু কেউ প্রতিবাদ করলে তাকেই জেলে পুরে দেওয়া হয়!

এটাই কি "অধিকার"? না, এটা অধিকার নয়, এটা বিশৃঙ্খলা!

আমরা ইসলামি শিক্ষা থেকে জানি, সত্যিকারের অধিকার হচ্ছে মানুষের মর্যাদা রক্ষা করা। কিন্তু এই তথাকথিত "অধিকারকর্মীরা" যে সংস্কৃতি গড়ে তুলছে, তা কি আমাদের সমাজের জন্য ভালো?

যদি প্রকাশ্যে ধূমপান করা অধিকার হয়, তাহলে পুরুষের ক্ষেত্রেও সেটা সমানভাবে গ্রহণযোগ্য হতে হবে।

কিন্তু যদি সমাজে নৈতিকতা বজায় রাখতে হয়, তাহলে সবার জন্য একই নিয়ম থাকতে হবে!

কিন্তু আজকের শাহবাগী চেতনা কী করছে? তারা নারীদের এমন একটা অবস্থানে নিয়ে যেতে চায়, যেখানে শালীনতার কোনো জায়গা নেই! যেখানে নারী মানেই বেপরোয়া, যেখানে নারী মানেই ইসলামবিরোধী আচরণ করতে পারবে!

কিন্তু ইসলামে নারীর মর্যাদা কোথায়? কুরআন কি বলে?

কুরআনে আল্লাহ বলেন:

"হে নবী! আপনি আপনার স্ত্রীগণকে, কন্যাগণকে এবং মুমিন নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিছু অংশ নিজেদের ওপর টেনে নেয়। এতে তাদের চেনা সহজ হবে এবং তারা কষ্ট দেওয়া থেকে রক্ষা পাবে।" (সুরা আহযাব: ৫৯)

অর্থাৎ, ইসলাম নারীদের মর্যাদা দান করেছে, তাদেরকে রক্ষা করার ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু আজকের তথাকথিত আধুনিক সমাজ কী করছে? তারা নারীদের এমন একটা জায়গায় দাঁড় করাচ্ছে, যেখানে নারীকে সম্মানিত নয়, বরং ব্যবহারযোগ্য বস্তু হিসেবে দেখা হচ্ছে!

তাহলে নারীদের প্রকৃত অধিকার কোথায়? সেটা কি শাহবাগীদের বেপরোয়া আচরণে, নাকি ইসলামের দেওয়া মর্যাদায়?

আমাদের সামনে দুটো পথ আছে—

১) আমরা কি এই ভ্রান্ত তথাকথিত "অধিকার"-এর নামে অশ্লীলতা ও অনৈতিকতাকে মেনে নেব?

২) নাকি আমরা ইসলামের দেওয়া সম্মান ও আদর্শ ধরে রাখব?

আমরা যদি চাই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সুস্থ-সবল মানসিকতা নিয়ে বেড়ে উঠুক, তাহলে আমাদের আজই এই ভ্রান্ত সংস্কৃতির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। সমাজকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে হবে। আর সেটা শুরু হবে আমাদের নিজেদের ঘর থেকেই।

, ইসলাম আমাদের শিখিয়েছে ন্যায়বিচার, শালীনতা, ও মর্যাদা। আমরা চাই একটি সুন্দর সমাজ, যেখানে নারী-পুরুষ উভয়েই তাদের প্রকৃত অধিকার পাবে, কিন্তু সেই অধিকার হবে নৈতিকতার ভিত্তিতে।

তাই আসুন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই, সত্যকে গ্রহণ করি এবং ইসলামের সঠিক শিক্ষা আমাদের জীবনে বাস্তবায়ন করি।

"সত্যের পক্ষে থাকুন, ইসলামের আদর্শ ধরে রাখুন!"