জঙ্গি নাটকে স্ত্রী কে ধর্ষণ

দাড়ি ও টুপিওয়ালাদের জঙ্গি সাজিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষন

"একজন মুসলমান, যার কোনো অপরাধ নেই, তাকে তুলে নেওয়া হলো।"
"তার বিরুদ্ধে সাজানো হলো মিথ্যা জঙ্গি নাটক।"
"তার স্ত্রী... একা ছিলেন না, তবু তাকে টার্গেট করা হলো। তাকে মানসিকভাবে ভেঙে ফেলা হলো।"
"আর লাইলাতুল কদরের পবিত্র রাতে—তাকে শেষবারের মতো লাঞ্ছিত করা হলো!"

এটা কোনো সিনেমার গল্প নয়।
এটা বাস্তবতা।
এটা আমাদের সমাজে ঘটে যাওয়া এক নির্মম সত্য!

[মূল ঘটনা]
সম্প্রতি এমন একটি ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে, যা মুসলিম উম্মাহর জন্য লজ্জার।
র‍্যাব-১১-এর একজন অফিসার, যার নাম ‘আলেপ’—সে সরকারের ছত্রছায়ায় থেকে ইসলামপ্রিয় মানুষদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করত।
মিথ্যা জঙ্গি নাটক সাজিয়ে দাড়ি-টুপি পরা মুসলিমদের টার্গেট করত।

তারই শিকার হয় এক মুসলিম পরিবার।

এক রাতে একজন মুসলিম পুরুষকে বিনা কারণে গ্রেপ্তার করা হলো।
তার বাড়ি থেকে টাকা-পয়সা লুট করে নেওয়া হলো।
তার স্ত্রীকে ফেলে রেখে দেওয়া হলো অসহায় অবস্থায়।

কিন্তু সে একা ছিলেন না!
তবুও সেই দানব থেমে থাকেনি।

[মানসিক নির্যাতনের ভয়াবহতা]
এই মহিলার ওপর চালানো হলো অবর্ণনীয় মানসিক নির্যাতন।
তাকে বারবার ফোন করা হলো।
তাকে বলা হলো—
"তোমার স্বামীকে হত্যা করা হবে!"
"তোমার স্বামীর নামে আরও মিথ্যা মামলা দেওয়া হবে!"
"তুমি যদি আমার কথা না মানো, তাহলে তোমার পুরো পরিবারকে শেষ করে দেওয়া হবে!"

এই ভয় দেখিয়ে এক মুসলিম নারীর সম্মান লুট করা হলো!

[লাইলাতুল কদরের রাত]
আর শেষবার যখন তাকে ধর্ষণ করা হলো—
সেই রাত ছিল লাইলাতুল কদর!

হ্যাঁ, কুরআন নাজিলের সেই পবিত্র রাত, যে রাত হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ!
যে রাতে মুসলিমরা ক্ষমা পাওয়ার জন্য রাতভর ইবাদত করে,
সেই রাতে একজন মুসলিম নারী নির্যাতিত হলো, তার ইজ্জত লুট হলো!

এরপর?

সে মানসিকভাবে এতটাই ভেঙে পড়লেন যে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করলেন!

[প্রশ্ন: আমরা কোথায়?]
ভাইয়েরা, আজ আমরা কোথায়?
এই নারীর অপরাধ কী ছিল?
তার স্বামী কি সত্যিই কোনো অপরাধ করেছিল?

না! তার একমাত্র অপরাধ ছিল—
সে মুসলমান ছিল!
তার স্বামী ইসলামপ্রিয় ছিল!

[ইসলাম কী বলে?]
কুরআনে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেছেন—
"তোমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াও, ন্যায়বিচারের সাক্ষ্য দাও, যদিও তা তোমাদের নিজেদের বা আত্মীয়-স্বজনের বিরুদ্ধে যায়।" (সূরা নিসা: ১৩৫)

রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন—
"যদি তোমরা অন্যায় দেখে তা হাত দিয়ে প্রতিরোধ করতে না পারো, তাহলে মুখ দিয়ে বলো। যদি সেটাও না পারো, তাহলে অন্তত মনে ঘৃণা করো। কিন্তু এটি হচ্ছে ঈমানের সবচেয়ে দুর্বল স্তর।" (সহিহ মুসলিম)

[আজকের বাস্তবতা]
আজ মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
আমাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলখানায় পোড়ানো হচ্ছে।
আমাদের মা-বোনদের সম্মান কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।
কিন্তু আমরা কী করছি?

✅ আমরা কি অন্যায়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছি?
✅ আমরা কি মুসলিম ভাইদের জন্য দোয়া করছি?
✅ আমরা কি সত্য-মিথ্যা যাচাই করছি?

নাকি মিডিয়ার সাজানো নাটক দেখে চুপচাপ বসে আছি?

ভাইয়েরা,
ইসলাম কখনো অন্যায়কে সমর্থন করে না!
ইসলাম আমাদের শিখিয়েছে—
✅ অত্যাচারীর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে
✅ মজলুমের পাশে দাঁড়াতে
✅ সত্যের জন্য লড়াই করতে

আজ যদি আমরা নিরব থাকি, তাহলে এই অন্যায় একদিন আমাদের ঘরেও পৌঁছে যাবে!

"তুমি আজ চুপ আছো, কাল তোমার বাড়ির দরজায় অন্যায়ের হাত পৌঁছাবে!"

[শেষ কথা]
আমাদের জেগে উঠতে হবে!
আমাদের ইসলামকে বুঝতে হবে!
আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে!

✦ যারা মজলুম তাদের জন্য দোয়া করুন!
✦ যারা জালিম, তাদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলুন!
✦ এই বার্তা ছড়িয়ে দিন, যেন প্রতিটি মুসলমান জেগে ওঠে!

"আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন এবং আমাদের ঈমানকে দৃঢ় রাখুন!"

Comments

Popular posts from this blog

নতুন ব্লগে আপনাকে সাগতম

গায়রত কি?